ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস-বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর যুগে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। অনেকে অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য ভিডিও দেখে থাকেন,আর এই অভ্যাসকেই এখন ইনকামের সুযোগকে পরিণত করেছে কিছু আধুনিক অ্যাপ্লিকেশন।

ভিডিও-দেখে-টাকা-ইনকাম-করার-অ্যাপস

এই ধরনের অ্যাপস গুলো ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ভিডিও দেখার মাধ্যমে পয়েন্ট বা ডলার আকারে অর্থ উপার্জনের সুযোগ দেয়।বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গৃহিণী কিংবা বেকার তরুণদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় ও সহজ আয়ের মাধ্যম হতে পারে।

পেজ সূচিপত্রঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপসগুলোর উপায়সমূহ

ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

বর্তমান যুগে ডিজিটাল দুনিয়ায় ভিডিও কনটেন্ট অত্যন্ত জনপ্রিয়। অনেক তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বা বিভিন্ন ভিডিও বেশি মানুষকে দেখাতে চায়, আর এই কাজের সাহায্য করে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ। এই অ্যাপস গুলো ব্যবহারকারীদের ভিডিও দেখার বিনিময়ে অর্থ বা পয়েন্ট প্রদান করে, যা পড়ে নগদ টাকা, মোবাইল রিচার্জ, গিফট কার্ড কিংবা অন্যান্য উপায়ে উত্তোলন করা যায়। এই অ্যাপসগুলো মূলত তিন ধরনের কাজের বিনিময়ে ইনকামের সুযোগ দেয়ঃ
  • বিজ্ঞাপন দেখা
  • রিভিউ বা রেটিং দেওয়া
  • রেফার ইনকাম
  • ছোট ছোট ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখা, যা সাধারণত ১৫ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত হয়। কোন ভিডিও কন্টেন্ট কেমন লেগেছে তা নিয়ে মতামত প্রদান করলে অতিরিক্ত পয়েন্ট পাওয়া যায়। নতুন ইউজারদের রেফার করলে এক্সট্রা বোনাস বা পয়েন্ট প্রদান করে।
ব্যবহারের ধাপঃ
  • প্রথমে অ্যাপটি ডাউনলোড করে একাউন্ট খুলতে হয়
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু ভিডিও দেখার সুযোগ থাকে
  • প্রতিটি ভিডিও দেখার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট বা টাকা জমা হয়
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে সেই টাকা উত্তোলন করা যায় বিকাশ, রকেট , পেপাল বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে
সুবিধাঃ
  • ঘরে বসে মোবাইল ব্যবহার করে আয় করা যায়
  • কোন বিশেষ প্রয়োজন নেই
  • অল্প সময়ে বিনিয়োগ করে সামান্য আয় করা সম্ভব
  • শিক্ষার্থী বা অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ভালো সময় কাটানোর ও উপার্জনের সুযোগ
সুবিধা বা সতর্কতাঃ
  • সব অ্যাপ বিশ্বাসযোগ্য নয়, অনেক প্রতারণামূলক এক রয়েছে
  • ইনকামের পরিমাণ খুব বেশি নয় এটি পার্ট টাইম ইন্টারনেট জন্য উপযুক্ত
  • অনেক সময় ভিডিও গুলো হতে পারে

ভিডিও দেখে আয় করার অ্যাপস বর্তমানে অনলাইন ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম

ভিডিও টাকা ইনকাম করার অ্যাপ--ভিডিও দেখে আয় করার অ্যাপস বর্তমানে অনলাইন ইনকামের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বর্তমান ডিজিটাল যুগে মানুষ মোবাইল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজ ও ঝামেলা হীন আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে। তারই একটি সহজ ও জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ভিডিও দেখে আয় করার অ্যাপ ব্যবহার করা। গুরুর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের ভিডিও , যেমন বিজ্ঞাপন, ট্রেইলার , শিক্ষামূলক কনটেন্ট বা বিনোদনমূলক ভিডিও দেখার জন্য অর্থ বা পয়েন্ট দিয়ে থাকে। অনলাইনে আয়ের ইচ্ছা থাকলে অনেকের পক্ষে জটিল কাজ যেমন ফ্রিল্যান্সিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং শেখা সম্ভব হয় না । এ কারণে ভিডিও দেখে ইনকাম করার অ্যাপস একটি সহজ ও জনপ্রিয় বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।


এই অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট ভিডিও দেখে কিছু পরিমাণ পয়েন্ট জমাতে পারে, যা নির্দিষ্ট পরিমাণে পৌঁছালে তা নগদ অর্থ , মোবাইল রিচার্জ বা গিফট কার্ডে রূপান্তর হয়। বিশেষ করে গৃহিণী, শিক্ষার্থী , তরুণ বেকার এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত এবং আরামদায়ক আয়ের পথ। এমন কি অনেক অ্যাপ এ রেফারেল লিংক শেয়ার করে আরো বেশি আয়ের সুযোগ থাকে। ভিডিও সেন্ড করার অ্যাপস বর্তমানে অনলাইন ইনকামের অন্যতম সহ যোজনা প্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এটি অল্প সময় ও সামান্য প্রচেষ্টায় কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

সাধারণত বিজ্ঞাপন দেখা, প্রমো ভিডিও দেখার বিনিময়ে ব্যবহারকারীকে অর্থ দেওয়া হয়

ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস-সাধারণ বিজ্ঞাপন দেখা, প্রমো ভিডিও দেখার বিনিময়ে ব্যবহারকারীকে অর্থ দেওয়া হয়। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটিং এর ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যাপক প্রসারের ফলে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্র্যান্ড তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। এই বিজ্ঞাপন গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তারা বিভিন্ন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপস ব্যবহার করে। এসব অ্যাপ এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ ভিডিও বা প্রোমোশনাল কন্টেন্ট দেখলে তার বিনিময়ে কিছু পয়েন্ট , বা সরাসরি টাকা পায়।

এই প্রক্রিয়ার মূলভাব গুলো হলোঃ
  • ব্যবহারকারী অ্যাপ এ সাইন আপ করে এবং ভিডিও দেখার অপশন পায়
  • প্রতিটি ভিডিও দেখার পর নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা অর্থ জমা হয়
  • একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট হলে তা ক্যাশ আউট করা যায় বিকাশ , রকে্‌ পেপাল বা গিফট কার্ডে
বিজ্ঞাপন ভিডিও হতে পারেঃ
  • মোবাইল অ্যাপের বিজ্ঞাপন
  • নতুন সিনেমার ট্রেইলার
  • গেম বা সফটওয়্যারের ডেমো
  • পণ্যের প্রচারমূলক কনটেন্ট 

কিছু এফএফ পয়েন্ট বা পয়েন্ট জমে, যা পরে টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা হয়

ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস--এফএফ পয়েন্ট বা রিওয়ার্ড পয়েন্ট কি এবং কিভাবে এটি টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা হয় সে সম্পর্কে আজ আমরা জানবো। অনলাইন ও মোবাইল গেমিং প্ল্যাটফর্ম , অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটে অনেক সময় ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন কাজের বিনিময়ে পয়েন্ট বা রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেওয়া হয়। এ পয়েন্টগুলোকে অনেক সময় ফ্রি ফায়ার পয়েন্ট নামেও ডাকা হয়, তবে বিভিন্ন প্লাটফর্মে নাম ভিন্ন হতে পারে। কিভাবে এফএফ পয়েন্ট জমা হয়ঃ
  • অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও দেখা বা গেম খেলে
  • দৈনিক চেকিং করলে পয়েন্ট পাওয়া যায়
  • বন্ধু রেফার করলেই অতিরিক্ত পয়েন্ট পাওয়া যায়
  • কুইজ বা জরিপে অংশ নিলে পয়েন্ট পাওয়া যায়
  • বিভিন্ন অফার পা প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন থেকে পয়েন্ট অর্জন
এইট পয়েন্টে দিয়ে কি করা যায়ঃ
  • গিফট কার্ড এ রূপান্তর
  • মোবাইল রিচার্জ বা ফ্লেক্সিলোড
  • ডিজিটাল প্রডাক্ট কেনা প্রতিটি অ্যাপ এ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পয়েন্ট এ টাকা বা গিফট কার্ডের মান নির্ধারিত থাকে
  • পয়েন্ট উত্তোলনের জন্য সাধারণত একটি ন্যূনতম সীমা থাকে
  • নির্ভরযোগ্য এবং রেটিং ভালো অ্যাপ ব্যবহার করায় বুদ্ধিমানের কাজ

এই অ্যাপস গুলোতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ এবং কয়েক মিনিটে একাউন্ট তৈরি করা যায়

এই অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সহজ এবং কয়েক মিনিটে একাউন্ট তৈরি করা যায়-এই বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানবো। বর্তমান সময়ের অধিকাংশই রিওয়ার্ড ভিত্তিক অ্যাপস ইউজারদের জন্য দ্রুত এবং সহজে একাউন্ট তৈরি সুযোগ দেয়। তাদের লক্ষ্য হয় বেশি ব্যবহারকারী আকর্ষণ করে এবং ঝামেলা মুক্ত অভিজ্ঞতা দেওয়া। সাধারণত রেজিস্ট্রেশন করতে যা যা করতে হয়ঃ
  • অ্যাপ ইন্সটল
  • ইমেইল/ফোন নম্বর দিয়ে সাইন আপ
  • ওটিপি যাচাই করুন
  • প্রোফাইল তথ্য পূরণ
  • রেফার কোড ইনপুট
  • রেজিস্ট্রেশন করতে সাধারণত দুই থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে যায়
  • ইন্টারনেট ভালো থাকলে আরো দ্রুত হয়
  • গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হয়
আপনি চাইলে জিমেইল , ফেসবুক অথবা শুধু ফোন নাম্বার ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। ফোন নাম্বার বা ইমেইলে পাঠানো একটি কোড ওটিপি দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হয়। এ প্রক্রিয়া মাত্র ১ থেকে ২ মিনিটে শেষ হয়। অনেক অ্যাপের নাম , বয়স , দেশ ইত্যাদি বলা হয়, তবে সব সময় বাধ্যতামূলক নয়। কেউ আপনাকে রেফার করলে ফুড দিলে বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যায়।


রেজিস্ট্রেশনের পরে কি হয় আর নিরাপত্তা ও সতর্কতাঃ
  • অ্যাপের হোমপেজে ঢুকে আপনি বিভিন্ন অফার বা কাজের তালিকা দেখতে পারেন
  • প্রতিদিন লগইন করলেই পয়েন্ট জমতে শুরু করবে
  • ভিডিও দেখা , গেম খেলা , অ্যাপ ডাউনলোড, জরিপে অংশগ্রহণ
  • শুধুমাত্র প্লে স্টোরে থাকা রেটিং ভালো অ্যাপ ব্যবহার করুন
  • ইমেইল বা ফোন নাম্বার ব্যবহার করে লগইন করার সময় নিশ্চিন্ত ফোন
  • আপনার বিকাশ পাসওয়ার্ড কোথাও দিবেন না

অনেক অ্যাপে রেফার করে অতিরিক্ত ইনকামের সুযোগ থাকে

ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ-অনেক অ্যাপ এ রেফার করে অতিরিক্ত ইনকামের সুযোগ থাকে। রেফার করে অতিরিক্ত ইনকাম করার সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হলো। রেফার ইনকাম হল-আপনি কোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন এবং সেই একটি অন্যকে পরিচিত রেফার করে দিলে , তখন তারা অ্যাপটি ডাউনলোড রেজিস্ট্রেশন করবে আর তখনই আপনি পয়েন্ট বা নগদ অর্থ পাবেন। এই ইনকামের প্রক্রিয়া এবং ইনকামের সুবিধা আর কিছু সতর্কতাঃ
  •  আপনার রেফার কোড বা লিংক শেয়ার করুন
  • যখন তারা অ্যাপ ডাউনলোড করেও কোড ব্যবহার করে
  • প্রতিটি সফল রেফারিলে ইনকাম
  • কিছু অ্যাপ এ দুই পক্ষের বোনাস পায়
  • বিনিয়োগ ছাড়া আয়
  • লাইফ টাইম ইনকাম
  • সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করে ইনকাম
  • দ্রুত ইনকামের সুযোগ
  • ভুয়া লিংক কখনো শেয়ার করবেন না
  • একাধিক ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের রেফার করলে একাউন্ট ব্যান হতে পারে
  • সব সময় বিশ্বাসযোগ্য রেটিং ভালো অ্যাপ ব্যবহার করুন

শিক্ষার্থী ও গৃহিণীদের জন্য একটি পার্ট টাইম আয়ের ভালো মাধ্যম হতে পারে

শিক্ষার্থী ও গৃহিণীদের জন্য একটি পার্ট টাইম আয়ের ভালো মাধ্যম-ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ, এই সম্পর্কে আজ আমরা কিছু জানবোঃ
  • ঘরে বসে আয় করা সম্ভব
  • পার্ট টাইম, সময় মত কাজ
  • অল্প সময়, অল্প পরিশ্রমে ইনকাম
  • রেফার করতে আয়
  • নতুন কিছু শেখার সুযোগ
শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাঃ
  • পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রী সময়ে আয় করা যায়
  • নিজের খরচের কিছু অংশ নিজেই বহন করা যায়
  • স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার শেখা হয় কাজে লাগিয়ে
গৃহিণীদের জন্য সুবিধাঃ
  • সংসারের এসে অবসরে কিছু সময় দিয়ে আয় করা যায়
  • পরিবার ও সন্তানদের সময় দিয়েও বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকে
  • আর্থিকভাবে কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হওয়া যায়
শিক্ষার্থী বা গৃহিণীদের বাইরে গিয়ে কাজ করার সময় বা সুযোগ অনেক সময় থাকে না। এসব অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে আয় করা যায়। এ ধরনের অ্যাপে কোন নির্দিষ্ট সময় বাধ্যতামূলক নয়, নিজের মত সময় অনুযায়ী কাজ করা যায় যেমন বিকেলে বা রাতে। ভিডিও দেখে, জরিপে অংশ নেওয়া , গেম খেলা কিংবা রেফার করলেই কিছু পয়েন্ট জমা হয়। শিক্ষার্থীও গৃহিণীরা পরিচিতদের মাধ্যমে সহজে রেফার করতে পারে। এতে কোন ইনভেস্ট ছাড়াই বাড়তি ইনকাম হয়। এই অ্যাপ গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনে আয়ের ধারণা তৈরি হয় , যা ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ফ্রিল্যান্সিং-এর পথ খুলে দিতে পারে।

ইউজারকে অবশ্যই নিয়মিত এপে সক্রিয় থাকতে হয় আয়ের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য

ইউজার নিয়মিত এতে সক্রিয় থাকতে হয় আই এর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য--এই বিষয় নিয়ে আজ আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায় জানব। সব অ্যাপেই প্রতিদিন লগইন করলে ডেইলি চেক ইন বোনাস পাওয়া যায়, যা নিয়মিত বাড়তে থাকে। যারা নিয়মিত সক্রিয় থাকে, তাদের জন্য নতুন ভিডিও , জরিপ, বা রেফারেল অফার দ্রুত পাওয়া যায়। অনেক অ্যাপে নির্দিষ্ট সময়ের অপ্রয়োগকৃত পয়েন্ট বাতিল হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত থাকলে সেই ঝুঁকি থাকে না। কিছু এপে ইউজারদের একটিভিটি অনুযায়ী লেভেল অ্যাপ ফিচার থাকে।আপনি যদি নিজের সক্রিয় থাকেন, তাহলে যাদের রেফার করছেন, তাদেরও অ্যাপ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে পারবেন-ফলে ইনকামও বাড়ে। নিয়মিত সক্রিয় থাকলে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়ঃ
  • দৈনিক বোনাস পাওয়া যায়
  • নতুন অফার ও টাস্ক আগে পাওয়া যায়
  • পয়েন্ট এক্সপায়ার হওয়া থেকে বাঁচে
  • ‍ ‍র‍্যাংক বা লেভেল বাড়ে
  • রেফার ইনকামেও বুস্ট আসে
নিয়মিত না থাকলে অনেক অ্যাপে ইনএক্টিভ থাকলে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। কিছু অ্যাপ এ জমা পয়েন্ট হারিয়ে যায়। নতুন ইসলামের উৎস মিস হয়ে যায়। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় বের করে অ্যাপ খুলুন। সকাল/বিকাল-যে সময় সুবিধা হয়, তখন কিছু ভিডিও দেখুন বা অফার চেক করুন। রেফার লিংক নিয়মিত শেয়ার করুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে আইবৃদ্ধি সম্ভব।যারা শুধু একবার ব্যবহার করে অ্যাপ বন্ধ করে দেন , তারা খুব অল্পই আয় করতে পারেন। আর যারা অল্প সময় হলেও প্রতিদিন অ্যাপ এ সক্রিয় থাকেন , তারা ধীরে ধীরে ভালো পরিমাণে পয়েন্ট জমাতে পারেন , যা পরবর্তীতে টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা হয় ।

কিছু অ্যাপ এ ভিডিও দেখার সময়সীমা নির্ধারিত থাকে, যেমন ৩০ সেকেন্ড বা এক মিনিট

কিছু অ্যাপ এ ভিডিও দেখার সময়সীমা নির্ধারণ থাকে--ভিডিও দেখার মাধ্যমে আয়, সময়সীমা নির্ধারণ কেন এই বিষয়ে আজ আমরা জানবো। সাধারণ বয়স সীমা কিরকম হয় এবং সময় পূর্ণ না হলে কি হয়ঃ
  • ৩০ সেকেন্ড-সবচেয়ে কম মন সময়সীমা
  • ৬০ সেকেন্ড-বোনাস পয়েন্ট দেওয়ার সময় ব্যবহৃত হয়
  • ৯০ সেকেন্ড-মাঝে মাঝে স্পেশাল অফারে থাকে
  • পয়েন্ট/টাকা দেওয়া হয় না
  • কখনো কখনো ভিডিও আবার চালু করতে হয়
  • একাউন্টে সতর্কবার্তা আসতে পারে
সীমা মানলে যা পাওয়া যায় এবং ব্যবহারকারীদের জন্য টিপসঃ
  • নির্ধারিত পয়েন্ট জমা হয়
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিডিও দেখে নির্দিষ্ট আইন নিশ্চিত করা যায়
  • একাউন্টের বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়ে
  • ভিডিও শুরু করলে পুরো সময় দেখে নিন। স্কিপ করবেন না
  • ইন্টারনেট সংযোগ ভালো রাখুন , যেন ভিডিও লোডিং এ সমস্যা না হয়
  • নির্ধারিত সময় জেনে আগেই বুঝে নেয়া যায় কত মিনিট কাজ করলে কত আয় হবে
  • সময় রেখে কাজ করলে ফোকাস বাড়ে ও ফলাফল নিশ্চিত হয়
  • দৈনিক সময় পরিকল্পনা করার সহজ যেমন-30 মিনিট-30 টি এক মিনিটের ভিডিও

লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য , ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

বর্তমান যুগে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস শিক্ষার্থী গৃহিণী কিংবা দেখার তরুণদের জন্য একটি আকর্ষণীয় অনলাইন আ এর মাধ্যমে উঠেছে। শুধু একটি স্মার্ট ফোনও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে কেউ চাইলে অল্প অল্প করে আয় করতে পারেন। এসব অ্যাপে ভিডিও দেখা , বিজ্ঞাপন দেখা, রেফার করা কিংবা সহজ কিছু টাস্কের মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করা যায় , যা পরবর্তীতে নগদ টাকা,মোবাইল রিচার্জ , মোবাইল রিচার্জ বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব। অনেক অ্যাপে ইনকামের সময়সীমা , শর্ত ও নিয়ম কানুন নির্ধারিত থাকে-তাই ধৈর্য সর্তকতা এবং নিয়মিত এক্টিভেট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে মনে রাখতে হবে এগুলো থেকে আপনি রাতারাতি বড় অংকের আয় করতে পারবেন না। বড় ধীরে ধীরে প্রতিদিন কিছুটা সময় ব্যয় করে ছোট পরিমাণ আইকে বড় করতে পারবেন আর সব সময় নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি যে অ্যাপ ব্যবহার করছেন য তা নির্ভরযোগ্য , নিরাপদ ও রেটিং ভালো কিনা। ভিডিও দেখে ইনকাম করার অ্যাপস ব্যবহার করার আগে তাদের রিভিউ করুন , নিয়ম বুঝে নিন , এবং হোয়াই অ্যাপ থেকে সাবধান থাকুন। সবসময় সঠিক ব্যবহার করলে এই মাধ্যম একটি সৎ , নিরাপদ ও স্মার্ট ইনকামের পথ হতে পারে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও গৃহিণীদের জন্য এটি পার্ট টাইম আয়ের দারুন একটি উপায়।

সম্মানিত পাঠক, অনেক কষ্ট করে ধৈর্য ধরে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় নিয়ে মাঝে মাঝে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে পারবেন, যেগুলো আপনার ভালো লাগবে এবং কিছু না কিছু উপকারে আসবে আশা করছি,ধন্যবাদ আপনাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি গো টাচ বিডি তে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url