আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে কতে হয়,তা বুঝে নেওয়া খুব জরুরি,কারণ এটি বর্তমান যুগে অনলাইন ব্যবসা ও ব্র্যান্ড প্রচারের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য , আপনাকে প্রথমে আপনার লক্ষ্য দর্শক এবং ব্যবসার জন্য উপযুক্ত ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল গুলো চিহ্নিত করতে হবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো, যা আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে সাহায্য করবে।

আমরা-ডিজিটাল-মার্কেটিং-কিভাবে-করবো

ডিজিটাল মার্কেটিং ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। শুরুতে ধৈর্য রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রয়োগে আপনি সফলভাবে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ড অনলাইনে তুলে ধরতে পারবেন। আপনার কনটেন্ট তৈরি , সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনএবং অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে হবে। 

পেজ সুচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো

আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেন এবং কিভাবে করব

আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেন এবং কিভাবে করব--এই বিষয়টি নিয়ে একটি সহজ ও তথ্যবহুল আলোচনা করব।
আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবঃ
গ্রাহক এখন অনলাইনে
  • কম খরচে প্রচার 
  • নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়
  • দ্রুত ফলাফল ও বিশ্লেষণ
  • প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার উপায়
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই ফেসবুক, ইউটিউব , গুগল সহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে সময় কাটায়। ব্যবসার প্রসারের জন্য প্ল্যাটফর্ম গুলোতে উপস্থিত থাকা জরুরী। এটার মার্কেটিং অনেক কম খরচে হাজার হাজার মানুষের কাছে অন্য বাসা বা পৌঁছে দিতে পারে। নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারে-বয়স, এলাকা , আগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখানো যায়-যা প্রচলিত বিজ্ঞাপনের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। কতজন দেখল, ক্লিক করলো , কিনলো-সবকিছুই রিয়েল টাইমে জানা যায়। ভবিষ্যৎ কৌশল ঠিক করার সহজ হয়। ছোট্ট ও বড় সব প্রতিষ্ঠান এখন ডিজিটাল মার্কেটিং করছে। তাই প্রতিযোগিতা টিকে থাকতে হলে আমাদেরও ডিজিটাল প্লাটফর্মে আসতে হবে।


আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবঃ
  • লক্ষণ নির্ধারণ
  • টার্গেট অডিয়েন্স চেনা
  • সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতি
  • মত বিজ্ঞাপন চালানো
  • কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা
  • ফলাফল বিশ্লেষণ ও কৌশল পরিবর্তন
প্রথমে আমরা কি অর্জন করতে চায়-বিক্রি , ওয়েবসাইট ভিজিট , ব্র্যান্ড পরিচিতি। আমাদের পণ্যের সম্ভাব্য ক্রেতা কারা , তারা কোথায় থাকে , বয়স কত , কিসে আগ্রহী-এসব জেনে মার্কেটিং করতে হবে। ফেসবুক , ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম-এর মতো প্লাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল প্রকাশ করতে হবে। ছবি, ভিডিও , পোস্ট , রিভিউ , লাইভ-বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা তুলে ধরতে হবে। কমেন্টের উত্তর দেওয়া , ইনবক্সে রিপ্লাই দেওয়া , সমস্যার সমাধান করা-এগুলো বিশ্বাস করার জন্য জরুরী। কোন পোস্ট বা এড ভালো কাজ করছে , কোনটা নয়-সেগুলো দেখে মার্কেটিং কৌশল উন্নত করতে হবে।

প্রথমে জানতে হবে কোন পণ্য বা সে বা আমরা প্রচার করতে চাই

আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করব-প্রথমে জানতে হবে কোন পণ্য বা সে বা আমরা প্রচার করতে চাই। ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল-নিজের পণ্য বসাবা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা। কারণ আপনি কি বিক্রি করতে চাইছেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার মার্কেটিং ধরন , কনটেন্ট,ভাষা এবং টার্গেট গ্রাহক। যেসব বিষয় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবেঃ
  • অন্যের ধরন কি
  • অন্যের উপকারিতা ও সমস্যা সমাধান কি
  • প্রতিযোগী পণ্যগুলোর মধ্যে পার্থক্য কোথায়
  • টার্গেট কাস্টোমার কারা
অন্যের দাম ও বিতরণ ব্যবস্থা কেমন এই পণ্য সেবা মানুষের কোন সমস্যার সমাধান করে বা কি সুবিধা দেয় তা স্পষ্টভাবে জানা ও বোঝানো জরুরী। একই ধরনের পণ্য অন্যরাও বিক্রি করছেন। তাহলে আপনারটা কেন আলাদা বা ভালো-এই ভ্যালু প্রোপোজিশন বুঝতে হবে। এই পণ্য বা সেবা কারা ব্যবহার করে-তাদের বয়স , অবস্থান , লাইফস্টাইল ইত্যাদি বুঝে কন্টেন তৈরি করতে হবে । অনলাইন অর্ডার করলে কিভাবে ডেলিভারি হবে , কত সময় লাগে,দাম কেমন-এসব বিষয়ে মার্কেটিং এর অংশ । ডিজিটাল মার্কেটিং এর সফল হতে হলে শুরুতে জানতে হবে আপনি ঠিক কোন পণ্য বাসে বা প্রচার করতে চান। তা না হলে আপনি ভুল জায়গায় ভুল গ্রাহকের কাছে ভুলবার্তা পৌঁছে দিতে পারেন, ফলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করব-টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা ডিজিটাল মার্কেটিং-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ--এই বিষয়টি নিয়ে সহজ ভাষায় কিছু বিবরণ দেওয়া হলো

টার্গেট অডিয়েন্স কি-অডিয়াস বলতে সেই নির্দিষ্ট গ্রাহক গোষ্ঠীকে বুঝায় যারা আপনার পণ্য বাদশা বার মত সম্ভাব্য ব্যবহারকারী বা ক্রেতা। এই গ্রুপকে চিনি বুঝে এবং লক্ষ্য করে মার্কেটিং করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম কৌশল। কেন টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা জরুরিঃ

  • সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়
  • কনটেন্ট তৈরি সহজ হয়
  • বিজ্ঞাপন বেশি কার্যকর হয়

আপনার পণ্য সব মানুষের জন্য নয়-শুধু নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য। তাই ভুল মানুষের কাছে বার্তা না পাঠিয়ে সঠিক মানুষকে লক্ষ্য করলে সময় ও খরচ কমে এবং ফলাফল বাড়ে। আপনি যদি জানেন আপনার কাস্টমার কারা , তাদের রুচি , ভাষা প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করা যায়। ফেসবুকে, গুগল এডসে,-এ আপনি নির্দিষ্ট বয়স , এলাকা , আগ্রহ , লিঙ্গ ইত্যাদি অনুযায়ী এক টার্গেট করতে পারবেন-যা রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়িয়ে দেয়।

কিভাবে টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করবেনঃ

  • বয়স-18 থেকে 30
  • লিঙ্গ-পুরুষ/মহিলা
  • লোকেশন-শহর/গ্রাম/দেশ
  • পেশা ও আয়

কাল মার্কেটিং এ সাফল্য পেতে হলে আগে জানতে হবে আপনার গ্রাহক কারা। কারন ভুল মানুষের কাছে যত ভালো কনটেন্টই যাক না কেনো, তারা তাতে আগ্রহী হবে না। আর সঠিক মানুষ টার্গেট করতে পারলে অল্প খরচেও অনেক বড় ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টিক টক এর মত প্লাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল তৈরি করা

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে-ফেসবুক , ইউটিউব , ইনস্টাগ্রাম , ও টিকটক এর মত প্ল্যাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল তৈরি করা-এই বিষয়টি নিয়ে একটি বিস্তারিত, সহজ বুদ্ধ ও ব্যবহারযোগ্য বিবরণ দেওয়া হলো ; কেন এসব প্ল্যাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল তৈরি করা জরুরী-বর্তমানে গ্রাহকরা প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই ব্যবসা বা ব্র্যান্ডকে যদি দৃশ্যমান করতে হয়, তবে এসব জনপ্রিয় ডিজিটাল প্লাটফর্মে আমাদের সক্রিয় থাকতে হবে। পেজ বা চ্যানেল হল সে উপস্থিতির প্রথম ধাপ। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল খোলার মূল উদ্দেশ্য হলো-অন্য প্রচার , পোষ্ট , লাইভ, গ্রাহক সেবা। ভিডিও কনটেন্ট , রিভিউ, টিউটোরিয়াল, ব্র্যান্ডিং।


কিভাবে প্লাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল তৈরি করবেন-ফেসবুক পেজ তৈরি করার ধাপঃ
  • আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করুন
  • পেজ সেকশনে যান ক্রিয়েট নিউ পেইজে ক্লিক করুন
  • পেজের নাম, ক্যাটাগরি এবং বিবরণ দিন
  • প্রোফাইল ও কভার ছবি আপলোড করুন
  • ঠিকানা , ফোন নাম্বার ও ওয়েবসাইট যোগ করুন 
  • পাবলিস এ ক্লিক করে পেজ চালু করুন
  • ইউটিউব চ্যানেল তৈরির ধাপঃ
  • জিমেইল একাউন্টের লগইন করুন
  • ইউটিউবে যান ডান পাশে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন
  • ক্রিয়েট চ্যানেল এ ক্লিক করুন
  • চ্যানেলের নাম ও প্রোফাইল ছবি দিন
  • বেসিক তথ্য ও কভার ব্যানার দিন
  • এখন ভিডিও আপলোড করে কনটেন্ট শুরু করুন

ভালো ছবি ভিডিও এবং তথ্যবহুল পোস্ট কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জনে সহায়ক

ভালো ছবি , ভিডিও এবং তথ্যবহুল পোস্ট কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জনে সহায়ক--এ বিষয়টি নিয়ে একটি পরিষ্কার ও সহজ ভাষায় আলোচনা করা হলো। বিষয়টির গুরুত্ব-ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক প্রথমে দেখে আপনার ছবি বা ভিডিও , এরপর পরে পোষ্টের তথ্য। আপনি যদি তাদের প্রথম দৃষ্টিতে আকৃষ্ট হতে পারেন এবং উপকারী তথ্য দিতে পারেন , তাহলে ধীরে ধীরে তাদের মনে আপনার সম্পর্কে বিশ্বাস তৈরি হয়।আর বিশ্বাস ছাড়া বিক্রি হয় না। ছবি কেন গুরুত্বপূর্ণঃ
  • প্রথম ইমপ্রেশন ভালো হয়
  • পণ্যের মান বুঝা যায়
  • ভুয়া ব্র্যান্ড থেকে আলাদা হওয়া যায়
একটি সুন্দর ও পেশাদার মানের ছবি দেখেই মানুষ আগ্রহী হয় পোস্টটির বিস্তারিত ভাবে দেখতে। পরিষ্কার ও বাস্তব ছবি দিলে কাস্টমার বুঝতে পারে পণ্যের রং , আকার , ডিজাইন কেমন। অনেকে ইন্টারনেট থেকে অন্যের ছবি নিয়ে বিজ্ঞাপন করে। কিন্তু আপনি যদি নিজের ছবি তোলেন , তাহলে গ্রাহক বুঝতে পারে আপনি আসল বিক্রেতা। মানসম্মত ভিডিওর উপকারিতাঃ
বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়ায়
  • ইনফরমেটিভ ভিডিও গ্রাহককে শিক্ষা দেয়
  • ভিডিওতে মুখ দেখালে সম্পর্ক তৈরি হয়
  • গ্রাহক সিদ্ধান্ত নিতে পারে
  • গুগলে সার্চ করলে পাওয়া যায়
  • আপনার ব্র্যান্ডকে জানার সুযোগ দেয়
ডিজিটাল দুনিয়ায় কাস্টমার আপনাকে সামনাসামনি দেখে না , তাই আপনার ছবি , ভিডিও ও পোস্টটি হল আপনার মুখ ও গলা। যদি আপনি সেগুলোকে পেশাদার , আন্তরিক ও তথ্যসমৃদ্ধ করেন , তাহলে গ্রাহকের মনে আপনার প্রতি বিশ্বাস তৈরি হবে , আর বিশ্বাস থেকে শুরু হয় বিক্রয়।

প্রতিটি প্রচার কার্যক্রমের ফলাফল বিশ্লেষণ করে শিখতে হবে

প্রতিটি প্রচারের ফলাফল বিশ্লেষণ করে শিখতে হবে-এই বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাস্তবভিত্তিক ও সহজ ভাষায় এটার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-বিষয়টির গুরুত্ব-ডিজিটাল মার্কেটিং এর শুধু পোস্ট বা বিজ্ঞাপন দিলে শেষ নয় কোনটা কাজ করছে আর কোনটা কাজ করছে না-তা বিশ্লেষণ না করলে সময় , টাকা ও পরিশ্রম দুই নষ্ট হতে পারে। প্রতিটি প্রচার কার্যক্রমের ফলাফল দেখে বুঝে নেওয়া হল সফল মার্কেটিং এর চাবিকাঠি। ফলাফল বিশ্লেষণ মানে হল-আপনি যে কনটেন্ট , বিজ্ঞাপন বা পোস্ট দিয়েছেন , তা কতজন দেখেছে,কে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ,কতজন কিনেছে বা যোগাযোগ করেছে-এসব ডেটা দেখে বুঝা এবং সে অনুযায়ী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করা।

কোন বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করতে হয়ঃ
  • কতজন দেখেছে-পোস্ট এড কত মানুষের স্ক্রিনে এসেছে
  • ক্লিক করেছে কতজন-লিংক বা ভিডিও কতজন ক্লিক করেছে
  • রিয়েকশন , কমেন্ট , শেয়ার-মানুষ কেমন সাড়া দিচ্ছে
  • ক্রয় বা লিড পুরো -বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কতজন অর্ডার দিয়েছে বা ফরম পূরণ করেছে
  • ভিডিও হলে-পুরো ভিডিও কতটুকু সময় দেখা হয়েছে

আমাদেরকে কাস্টমারদের কমেন্ট ও ইনবক্সে দ্রুত সাড়া দিতে হবে

আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করব-আমাদেরকে কাস্টমারদের কমেন্ট ও ইনবক্সে দ্রুত সাড়া দিতে হবে-এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি একটি সহজবোধ্য বিষয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর শুধু ভালো ছবি ভিডিও বা বিজ্ঞাপন দিলে কাজ শেষ নয়। কাস্টমারদের প্রশ্ন , মতামত বা আগ্রহের জায়গায় দ্রুত ও আন্তরিকভাবে সাড়া দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কাস্টমারের বিশ্বাস, সন্তুষ্টি ও ক্রয় সিদ্ধান্ত সরাসরি প্রভাব ফেলে। কোন কেন কাস্টমারের কমেন্ট ও ইনবক্সে দ্রুত সাড়া দিতে হবেঃ
  • কাস্টমার অপেক্ষা করতে চায় না
  • বিশ্বাস ও পেশাদারিত্ব গড়ে ওঠে
  • বিক্রির সুযোগ বাড়ে
  • নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়
  • অ্যালগোরিদম এর সাহায্য করে
বর্তমান যুগে মানুষ চায় তাৎক্ষণিক উত্তর। দেরী হলে তারা প্রতিযোগী ব্র্যান্ডে চলে যেতে পারে। দ্রুত রিপ্লাই দিলে কাস্টমার ধরে নেয়-এই ব্র্যান্ড বিশ্বস্ত , প্রক্রিয়া এবং যত্নবান। অনেকেই প্রশ্ন করে দাম কত?-ডেলিভারি কত দিনে?-টক আছে কি?-আপনি যদি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন , সে কাস্টমার তখনই অর্ডার দিয়ে দেয়। কোন অসন্তুষ্ট কাস্টমার কমেন্ট করলে দ্রুত ও ভদ্রভাবে উত্তর দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং অন্যরাও আপনার পজেটিভ আচরণ দেখে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ইউটিউব বা অনলাইন কোর্স অনুসরণ করা যেতে পারে

মার্কেটিং শিখতে ইউটিউব বা অনলাইন কোর্স অনুসরণ করা যেতে পারে-এই বিষয়টি নিয়ে বিবরণ দেওয়া হলো-বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং একটি চাহিদা সম্পন্ন দক্ষতা। আপনি চাকরি করতে চান , অনলাইন ব্যবসা করতে চান , কিংবা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান-ডিজিটাল মার্কেটিং শেখায় এক ধরনের অপরেহার্য হয়ে উঠেছে। আর সবচেয়ে সহজ এবং সাশ্রয়ী উপায় হল ইউটিউব ও অনলাইন কোর্স থেকে শেখা। কেন ইউটিউবে অনলাইন কোর্স উপযোগীঃ
  • কম খরচে শেখার সুযোগ
  • নিজের সময় অনুযায়ী শেখা যায়
  • ধাপে ধাপে শেখার সুবিধা
  • প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট করার সুযোগ

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা এখন আর কঠিন ভাবে বহুল নয়। আপনার যদি ইচ্ছা ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তাহলে আপনি ইউটিউব বা অনলাইন কোর্স থেকে ঘরে বসে পুরো ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে দক্ষ হতে পারেন। আপনি চাইলে যেকোনো ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হয়ে কোর্স করতে পারেন। আর একবার দক্ষ হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সিং , চাকরি কিংবা নিজের ব্যবসা-সব জায়গায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব। ইউটিউবে হাজার হাজার মানসম্মত কোর্স বিনামূল্যে পাওয়া যায়। অনলাইন কোর্স প্লাটফর্মে অনেক ফোর্স ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেও পাওয়া যায়। অনলাইন কোর্সগুলোতে ধাপে ধাপের বিষয় শেখানো হয়-যা একজন একদম নতুনের জন্য সহজবোধ্য।

ধৈর্য,নিয়মানুবর্তিতা ও  কৌশল মেনে চললে আমরা সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়

ধৈর্য , নিয়মানুবর্তিতা ও কৌশল মেনে চললে আমরা সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারি-এ বিষয়টি একটি পরিষ্কার এবং সহজ বোধ্য ব্যাপার। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সফল হতে কি লাগে-অনেকেই ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং মানেই শুধু বিজ্ঞাপন দেওয়া আর পোস্ট করা। কিন্তু আসলে সফল হতে গেলে দরকার তিনটি মূল গুন-ধৈর্য+ নিয়মানুবর্তিতা+ কৌশল= সাফল্য

ধৈর্য-ডিজিটাল মার্কেটিং এরা তারা কি ফল পাওয়া যায় না। আজ পোস্ট করলে কাল বিক্রি হবে-এমন আসা ঠিক নয়। আপনি যদি নিয়মিত কনটেন্ট দেন, প্রথম দুই থেকে তিন মাস হয়তো কম রেসপন্স পাবেন। কিন্তু ধৈর্য রাখলে ছয় মাস পর আপনার পেজ বা ব্র্যান্ডে ভালো রেজাল্ট আসতে শুরু করবে।

নিয়মানুবর্তিতা-নিয়মিত পোস্ট না করলে কাস্টমার আপনাকে ভুলে যায়। অ্যালগরিদম সক্রিয় একাউন্ট কেই বেশি দেখায়। কনটেন্ট , রিপ্লাই , এনালাইসিস-সবকিছু ধারাবাহিকভাবে করতে হয়।

কৌশল-শুধু পুশ দিলে হবে না, জানতে হবে কোন পোস্ট কার কাছে যাবে, কিভাবে যাবে , কবে যাবে। মার্কেট ট্রেন্ড , কাস্টমার মনের ভাষা , বিজ্ঞাপনের টাইমিং-এসব কৌশল জানলে সফলতা কয়েকগুন বেড়ে যায়।

লেখকের শেষকথা, মন্তব্য-ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার গুরুত্ব ও কৌশল

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করতে হলে একদিনে অনেক কিছু করে থেমে গেলে হবে না। দরকার ধৈর্য ধরে , নিয়মিত কাজ করে ও বুদ্ধিমানের মত পরিকল্পনা করে এগিয়ে চলা। যারা এই তিনটি মানতে পারে , তারাই ধীরে ধীরে অনলাইনে একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে পারে। কাস্টমারের কমেন্ট ও ইনবক্সে দ্রুত সারা দেওয়া শুধু ভদ্রতাই নয়-বরং এটি ডিজিটাল ব্যবসার একটি কৌশলগত শক্তি। আপনি যদি দ্রুত ,স্পষ্ট ও বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে সাড়া দিতে পারেন তাহলে শুধু বিক্রি নয়-গ্রাহকের মনেও আপনার ব্র্যান্ডের জন্য এক ধরনের ভালোবাসা তৈরি হবে।

প্রিয় পাঠক, গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসু আর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়ী এই আর্টিকেলটি আপনি ধৈর্য ধ রে কষ্ট করে সময় নিয়ে পড়েছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার মনে হয় আপনার জীবনে অথবা আপনার প্রিয়জনের বা বন্ধু-বান্ধবের জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে, তাহলে কষ্ট করে অবশ্যই তাদের সাথে শেয়ার করবেন। আমি আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন যা আপনার এবং আপনার কাছের মানুষদের উপকারে আসতে পারে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ এবং নতুন নতুন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল সহ হাজির হয়ে যাব। আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় বের করে এই ওয়েবসাইটটি মাঝে মাঝে ভিজিট করবেন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি গো টাচ বিডি তে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url