আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে কতে হয়,তা বুঝে নেওয়া খুব জরুরি,কারণ এটি বর্তমান যুগে অনলাইন ব্যবসা ও ব্র্যান্ড প্রচারের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য , আপনাকে প্রথমে আপনার লক্ষ্য দর্শক এবং ব্যবসার জন্য উপযুক্ত ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল গুলো চিহ্নিত করতে হবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো, যা আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে সাহায্য করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। শুরুতে ধৈর্য রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রয়োগে আপনি সফলভাবে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ড অনলাইনে তুলে ধরতে পারবেন। আপনার কনটেন্ট তৈরি , সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনএবং অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে হবে।
পেজ সুচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো
- আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেন এবং কিভাবে করব
- প্রথমে জানতে হবে কোন পণ্য বা সে বা আমরা প্রচার করতে চাই
- টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
- ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টিক টক এর মত প্লাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল তৈরি করা
- ভালো ছবি ভিডিও এবং তথ্যবহুল পোস্ট কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জনে সহায়ক
- প্রতিটি প্রচার কার্যক্রমের ফলাফল বিশ্লেষণ করে শিখতে হবে
- আমাদেরকে কাস্টমারদের কমেন্ট ও ইনবক্সে দ্রুত সাড়া দিতে হবে
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ইউটিউব বা অনলাইন কোর্স অনুসরণ করা যেতে পারে
- ধৈর্য,নিয়মানুবর্তিতা ও কৌশল মেনে চললে আমরা সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়
- লেখকের শেষকথা, মন্তব্য-ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার গুরুত্ব ও কৌশল
আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কেন এবং কিভাবে করব
- কম খরচে প্রচার
- নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়
- দ্রুত ফলাফল ও বিশ্লেষণ
- প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার উপায়
- লক্ষণ নির্ধারণ
- টার্গেট অডিয়েন্স চেনা
- সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতি
- মত বিজ্ঞাপন চালানো
- কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা
- ফলাফল বিশ্লেষণ ও কৌশল পরিবর্তন
প্রথমে জানতে হবে কোন পণ্য বা সে বা আমরা প্রচার করতে চাই
- অন্যের ধরন কি
- অন্যের উপকারিতা ও সমস্যা সমাধান কি
- প্রতিযোগী পণ্যগুলোর মধ্যে পার্থক্য কোথায়
- টার্গেট কাস্টোমার কারা
টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করব-টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা ডিজিটাল
মার্কেটিং-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ--এই বিষয়টি নিয়ে সহজ ভাষায় কিছু
বিবরণ দেওয়া হলো
টার্গেট অডিয়েন্স কি-অডিয়াস বলতে সেই নির্দিষ্ট গ্রাহক গোষ্ঠীকে বুঝায় যারা আপনার পণ্য বাদশা বার মত সম্ভাব্য ব্যবহারকারী বা ক্রেতা। এই গ্রুপকে চিনি বুঝে এবং লক্ষ্য করে মার্কেটিং করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম কৌশল। কেন টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা জরুরিঃ
- সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়
- কনটেন্ট তৈরি সহজ হয়
- বিজ্ঞাপন বেশি কার্যকর হয়
আপনার পণ্য সব মানুষের জন্য নয়-শুধু নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য। তাই ভুল
মানুষের কাছে বার্তা না পাঠিয়ে সঠিক মানুষকে লক্ষ্য করলে সময় ও খরচ
কমে এবং ফলাফল বাড়ে। আপনি যদি জানেন আপনার কাস্টমার কারা , তাদের রুচি ,
ভাষা প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করা যায়। ফেসবুকে, গুগল এডসে,-এ আপনি
নির্দিষ্ট বয়স , এলাকা , আগ্রহ , লিঙ্গ ইত্যাদি অনুযায়ী এক টার্গেট করতে
পারবেন-যা রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়িয়ে দেয়।
কিভাবে টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করবেনঃ
- বয়স-18 থেকে 30
- লিঙ্গ-পুরুষ/মহিলা
- লোকেশন-শহর/গ্রাম/দেশ
- পেশা ও আয়
কাল মার্কেটিং এ সাফল্য পেতে হলে আগে জানতে হবে আপনার গ্রাহক কারা। কারন ভুল
মানুষের কাছে যত ভালো কনটেন্টই যাক না কেনো, তারা তাতে আগ্রহী হবে না। আর
সঠিক মানুষ টার্গেট করতে পারলে অল্প খরচেও অনেক বড় ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টিক টক এর মত প্লাটফর্মে পেজ বা চ্যানেল তৈরি করা
- আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করুন
- পেজ সেকশনে যান ক্রিয়েট নিউ পেইজে ক্লিক করুন
- পেজের নাম, ক্যাটাগরি এবং বিবরণ দিন
- প্রোফাইল ও কভার ছবি আপলোড করুন
- ঠিকানা , ফোন নাম্বার ও ওয়েবসাইট যোগ করুন
- পাবলিস এ ক্লিক করে পেজ চালু করুন
- ইউটিউব চ্যানেল তৈরির ধাপঃ
- জিমেইল একাউন্টের লগইন করুন
- ইউটিউবে যান ডান পাশে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন
- ক্রিয়েট চ্যানেল এ ক্লিক করুন
- চ্যানেলের নাম ও প্রোফাইল ছবি দিন
- বেসিক তথ্য ও কভার ব্যানার দিন
- এখন ভিডিও আপলোড করে কনটেন্ট শুরু করুন
ভালো ছবি ভিডিও এবং তথ্যবহুল পোস্ট কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জনে সহায়ক
- প্রথম ইমপ্রেশন ভালো হয়
- পণ্যের মান বুঝা যায়
- ভুয়া ব্র্যান্ড থেকে আলাদা হওয়া যায়
- ইনফরমেটিভ ভিডিও গ্রাহককে শিক্ষা দেয়
- ভিডিওতে মুখ দেখালে সম্পর্ক তৈরি হয়
- গ্রাহক সিদ্ধান্ত নিতে পারে
- গুগলে সার্চ করলে পাওয়া যায়
- আপনার ব্র্যান্ডকে জানার সুযোগ দেয়
প্রতিটি প্রচার কার্যক্রমের ফলাফল বিশ্লেষণ করে শিখতে হবে
- কতজন দেখেছে-পোস্ট এড কত মানুষের স্ক্রিনে এসেছে
- ক্লিক করেছে কতজন-লিংক বা ভিডিও কতজন ক্লিক করেছে
- রিয়েকশন , কমেন্ট , শেয়ার-মানুষ কেমন সাড়া দিচ্ছে
- ক্রয় বা লিড পুরো -বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কতজন অর্ডার দিয়েছে বা ফরম পূরণ করেছে
- ভিডিও হলে-পুরো ভিডিও কতটুকু সময় দেখা হয়েছে
আমাদেরকে কাস্টমারদের কমেন্ট ও ইনবক্সে দ্রুত সাড়া দিতে হবে
- কাস্টমার অপেক্ষা করতে চায় না
- বিশ্বাস ও পেশাদারিত্ব গড়ে ওঠে
- বিক্রির সুযোগ বাড়ে
- নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়
- অ্যালগোরিদম এর সাহায্য করে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ইউটিউব বা অনলাইন কোর্স অনুসরণ করা যেতে পারে
- কম খরচে শেখার সুযোগ
- নিজের সময় অনুযায়ী শেখা যায়
- ধাপে ধাপে শেখার সুবিধা
- প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট করার সুযোগ
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা এখন আর কঠিন ভাবে বহুল নয়। আপনার যদি ইচ্ছা ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তাহলে আপনি ইউটিউব বা অনলাইন কোর্স থেকে ঘরে বসে পুরো ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে দক্ষ হতে পারেন। আপনি চাইলে যেকোনো ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হয়ে কোর্স করতে পারেন। আর একবার দক্ষ হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সিং , চাকরি কিংবা নিজের ব্যবসা-সব জায়গায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব। ইউটিউবে হাজার হাজার মানসম্মত কোর্স বিনামূল্যে পাওয়া যায়। অনলাইন কোর্স প্লাটফর্মে অনেক ফোর্স ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেও পাওয়া যায়। অনলাইন কোর্সগুলোতে ধাপে ধাপের বিষয় শেখানো হয়-যা একজন একদম নতুনের জন্য সহজবোধ্য।
আপনি গো টাচ বিডি তে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url